বিভিন্ন সময় ছোট ছোট উক্তি লিখে বিভিন্ন জনকে উপহার দিতাম। একটা সময় দেখলাম যে এই ছোট ছোট উক্তিগুলো একটা বড় কবিতার আকার ধারন করেছে…
বইমেলায় কথা কবিতার ঘ্রাণের মুখোমুখি এভাবেই কথা বলেন ফারজানা মিতু।
বিস্তারিত লিখেছেন হ্যাপি…
লেখালেখিকে একমাত্র সঙ্গি করে এবারের বইমেলার ফারজানা মিতু প্রকাশ করেছে মোট ছয়টি উপন্যাস। আমার অদৃষ্টে তুমি, ভালবেসে রুমাল দিতে নেই, যে আধাঁরে তুমি নেই, কেটেছে একেলা বিরহ বেলা, পথে যেতে যদি আসি কাছাকাছি এবং তোমাতে করিবো বাস ।
উপন্যাস গুলো সর্ম্পকে প্রশ্ন করাতে তিনি বলেন- গত বছর আমার মোট সাতটি বই বের হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল চারটি ছিল উপন্যাস ও তিনটি কবিতার বই। আর এ বছর বের হল ছয়টি উপন্যাস।
হ্যাপি- কোন বিষয়ের উপরে প্রাধান্য দিয়ে আপনি বই লেখেন ?
ফারজানা মিতু- আমি প্রধানত প্রেম, ভালবাসার যে কষ্ট বা হাহাকার এই বিষয় গুলো তুলে আনার চেষ্টা করি, এছাড়াও পারিবারিক দ্বন্দ, সংঘাত, মূল্যবোধের অবক্ষয় এই সব বিষয় প্রাধান্য দেই।
যে আধাঁরে তুমি নেই বইটির বিষয়বস্তু কি?
– কিছু মানুষ থাকে যারা কাছের মানুষের জন্য আজীবন নিজেকে নি:শেষ করে দেয়, কিন্তু একটা সময় আসে যখন তার পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ থাকে না। এমনই এক নারীর জীবন কাহিনি উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। বইটি একটু অন্য ভাবে লেখা। বলা যায় এটি প্রেমের উপন্যাস হয়েও আবার প্রেমের নয়।
ছয়টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসগুলোর বিষয়বস্তু কি একই ধরনের?
– না , প্রতিটি উপন্যাসে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে।
সবসময় কী এ ধরনের লেখার ইচ্ছা, নাকি ভিন্ন ধরনের ইচ্ছা আছে?
– সামনে আমি মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছি। তাছাড়া একটি ভৌতিক কহিনি নিয়ে একটি বই লেখার ইচ্ছা আছে। আর নিয়মিত ভাবে কবিতার বই প্রকাশিত হবে আশা করছি।
ফারজানা মিতু লেখালিখি করছেন গত কয়েক বছর ধরে। আর বই প্রকাশ করা শুরু করেছেন গত বছর থেকে। নিয়মিত ভাবে পাঠক সমাজের জন্য নতুন নতুন বই উপহার দিবেন এমন আশাই ব্যাক্ত করলেন তিনি।